কুবিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া নিয়ে শিক্ষকদের হাতাহাতি

প্রথম প্রকাশঃ মার্চ ১৮, ২০১৭ সময়ঃ ৫:২১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:২৩ অপরাহ্ণ

তানভীর সাবিক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার জাতীয় শিশু দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষক সমিতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের শিক্ষকদের সাথে বঙ্গবন্ধু পরিষদের অন্যপক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বঙ্গবন্ধু পরিষদের এক পক্ষের শিক্ষকরা ফুল দেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পরিষদভুক্ত (অন্যপক্ষ) শিক্ষকরা ফুল দিতে গেলে তাতে বাধা দেন মূলধারার বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সজিব। এরপর সহকারী প্রক্টর ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের (অন্যপক্ষ) খলিলুর রহমানের সাথে জিয়া উদ্দিনের ফুল দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের (অন্যপক্ষ) শিক্ষকরা মূলধারার বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষকদের জামায়াত শিবির বলে আখ্যা দেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। হাতাহাতির একপর্যায়ে জিয়া উদ্দিন নিচে পড়ে যান। পরে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে খলিলুর রহমানের সাথে পুনরায় হাতাহাতি হয়।

এসময় দুই পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনা প্রকট আকার ধারণ করে। শিক্ষকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা চলাকালে কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি জিনাত আমান এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ শিক্ষকদের নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য প্রয়োগ করতে দেখা যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন।

এদিকে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে গত ৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষক সমিতি। এরপর থেকে গত ৭ কার্যদিবস উপাচার্যের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখায় কার্যালয়ে আসতে পারেননি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ। আগামী রবিবারের মধ্যে শিক্ষক সমিতি যদি উপাচার্যকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না দেয় তাহলে তালা ভেঙ্গে উপাচার্যকে কার্যালয়ে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। শুক্রবার জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রলীগ নেতারা।

শিক্ষকদের হাতাহাতির বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, ‘অনুষ্ঠানে উপাচার্যের পর শিক্ষক সমিতি এবং তারপর বঙ্গবন্ধু পরিষদ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কিন্তু কতিপয় শিক্ষক মূলধারার বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শিক্ষক সমিতির শিক্ষকদের উপর চাড়াও হয়ে হামলা করেন। এবং আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন।’

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ^বিদ্যালয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। তারা একটার পর একটা অন্যায় করলের কোন বিচার হচ্ছে না।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আলী আশরাফ বলেন, ‘শিক্ষকদের কিছু অংশ আমার অপসারণ দাবি করছে সবাই আমার অপসারন চায় না।’

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G